পয়গম্বর বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বেলডাঙা। সেই মামলায় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, বেলডাঙা পুরসভা এবং বেলডাঙা থানার সিসিটিভি ফুটেজ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে রেজিনগর এবং বেলডাঙা থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন জানান। মমলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, বেলডাঙা পুরসভা এলাকায় ১৩৭ সিসিটিভি রয়েছে। এই সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য তিনি আদালতের কাছে আবেদন জানান। আইনজীবীর দাবি, এর আগেও ওই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ফলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে, হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘর বাড়ি, দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান মামলাকারীদের অন্য এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) হলফনামা দিয়ে জানাচ্ছেন যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অথচ সেখানে গেলে দেখা যাচ্ছে ১৪৪ ধারা এখনও রয়েছে। যার ফলে সেখানে কোনও সভার অনুমতি মিলছে না। এই হলফনামার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই আইনজীবী। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সেখানে ১৪৪ ধারা নেই। মানুষকে ভরসা দিতেই সেখানে এখনও পুলিশি টহলদারি রয়েছে।
ফুটেজের ভিত্তিতে আদালত যে সিসিটিভি বেলডাঙার ঘটনার ভিত্তিতে সিসিটিভির ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফুটেজ দেওয়ার সময় সেটি কোন এলাকার, কোন সময়কার এবং কোন দিনের তার তথ্য দিতে হবে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট জেলাশাসককে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ২৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।