কার নির্দেশে কাজ করতেন সুবীরেশ – কল্যাণময়। তার নাম জানতে চান রাজ্যবাসী। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি বলেন, কার নির্দেশে তিনি কাজ করতেন, বলে দিন সুবীরেশবাবু।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতির ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। তাতে দেখা যায়, সাদা খাতা জমা দিয়ে ৫০ – ৫২ নম্বর পেয়েছে অনেকে। নবম – দশম, একাদশ – দ্বাদশ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে এরকম ৮,১৬৩ জনের নিয়োগ হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন আমি স্তম্ভিত। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, আমি বাকরূদ্ধ।
এর পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘দুর্নীতির ব্যাপকতা আতঙ্কিত করেছে। কার নির্দেশে ব্যাপক দুর্নীতি? নাম বলে দিন সুবীরেশবাবু। একজনের নির্দেশ ছাড়া কাজ করতেন না সুবীরেশ – কল্যাণময়। রাজ্যবাসী সেই একজনের নাম জানতে চায়’।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুবীরেশ ও কল্যাণময়কে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে সুবীরেশকে হেফাজতে পেয়েও সিবিআই তেমন জেরা করেনি বলে অভিযোগ। এদিন ফের সুবীরেশকে জেরা করতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।