উচ্চপ্রাথমিকে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের আবেদনের শুনানিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার SSC আদালতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলে স্থগিতাদেশ উঠতে পারে।
গত ১০ ও ১১ নভেম্বর SSC-র উচ্চ প্রাথমিকের শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং হয়। এর পরই বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাদের নম্বর বেশি থাকলেও কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি। বরং ডাক পয়েছেন অপেক্ষাকৃত কম নম্বর প্রাপকরা। এই অভিযোগ শুনে SSC-কে বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদালতের কাছে সময় চান SSC-র আইনজীবী। তিনি বলেন, কী ভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়েছে? পর্ষদ জানে যে তারা স্বচ্ছ নয়। এভাবে অযোগ্যদের নিয়োগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এর পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করেন বিচারপতি।
বাঁকুড়ায় ভার্চুয়ালি বিরসা মুন্ডার মূর্তি উন্মোচন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, আর কী ঘটবে?
পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যে কোনও সময় চাকরির সুপারিশপত্র জারি করতে পারে SSC. সুপারিশপত্র জারি হওয়ার পর যদি দেখা যায় আবেদনকারীদের অভিযোগ সত্যি তাহলে বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করবে। তাই আপাতত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। বৃহস্পতিবার SSC-র ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য মনে হলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।’
২০১৬ সালের SLST পরীক্ষার ভিত্তিতে অবশেষে নিয়োগের আশা দেখতে পাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তেও দুর্নীতির অভিযোগে ফের আশঙ্কা কিছুটা বাড়ল চাকরিপ্রার্থীদের।