আমফান ত্রাণ দুর্নীতি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে জানিয়ে দিল, এই মামলায় পুলিশের পেশ করা তদন্তরিপোর্টে খুশি নয় তারা। এর আগে এই মামলায় পুলিশের পেশ করা রিপোর্টকে ‘চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা’ বলে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল আদালত।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর রাজ্য সরকারের পাঠানো প্রায় ২ কোটি টাকার ত্রাণ লুঠের অভিযোগ ওঠে বসিরহাটের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই ত্রাণ মজুত করা হয় তাঁর বাড়িতে। পরে তা পাচারের সময় ৫টি গাড়িকে ধরেন স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে তদন্ত করতে দেয় আদালত। কিন্তু আদালতে পুলিশ যে রিপোর্ট জমা দেয় তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তার উল্লেখ ছিল না। রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ আদালত জানায়, এই রিপোর্ট ‘চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা’। বিপর্যয়ের সময় মানুষের টাকা নয়ছয় হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের উল্লেখ কই?
সোমবার এই মামলা নাটকীয় মোড় নেয়। শুনানিতে দেখা মেলেনি মামলাকারী বা তাঁর আইনজীবী। পরে আদালতকে জানানো হয় মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান তাঁরা। এই দুর্নীতিতে আদালতে সরকারের মুন্ডুপাত যখন সময়ের অপেক্ষা তখন কোন মন্ত্রে মামলা প্রত্যাহার করতে চান মামলাকারী তা বুঝতে দেরি হয়নি বিচারপতির। সঙ্গে সঙ্গে সেই মামলা আদালতের তরফে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। স্পষ্ট জানান, মানুষের টাকা নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা এভাবে ছেড়ে দিতে পারে না আদালত।
এদিন ফের আদালতে রিপোর্ট পেশ করে পুলিশ। রিপোর্ট গ্রহণ করলেও আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে খুশি নয় তারা। তেমন হলে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট।