সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা। এদিন আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, তদন্তে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও জামিনের আবেদন শুনবে না তারা। যার ফলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের মূল হাতিয়ারই ভোঁতা হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ – সুবীরেশরা বারবারই আদালতে জামিনের আবেদন করে অভিযোগ করেছে, স্লথ গতিতে চলছে তদন্ত। অথচ তাদের অহেতুক আটকে রাখা হচ্ছে। একই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেখানে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, ‘সুবীরেশ ৮৮ দিন ধরে জেলে রয়েছে। তার আগে ৫ বার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছে। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছে। মামলার চার্জশিটও পেশ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও তদন্তের স্লথগতির জন্য তাকে আটকে রাখা যায় না।’ একথা শুনে আদালত বলে, ‘এই মামলায় সাজার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৭ বছর। তাহলে আপনি ৩.৫ বছর পর আদালতে আসুন।’
এদিন সিবিআইয়ের কাছে আদালত জানতে চায়, সুবীরেশের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা রয়েছে কি না। দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের ভূমিকা কী। তাকে আর হেফাজতে রাখার দরকার রয়েছে কি না। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তে প্রকাশ, নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে মূল কান্ডারি ছিল এই সুবীরেশ। OMR শিটের নম্বর কমিশনের সার্ভারে বদলে ফেলে অযোগ্যদের মাধাতালিকায় নিয়ে আসত সে।