সারদাকাণ্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সারদাকাণ্ডে প্রতারিতদের দায়ের করা একটি মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। অস্বস্তিকর এই প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার আদালতকে কী জবাব দেয় তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
সারদাকাণ্ডে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণ দিতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। টাকা বিলির জন্য গঠন করা হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের অধীনে কমিশন। কিন্তু পুরো টাকা বিলি করার আগেই কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। যার ফলে রাজ্যের কাছে ফেরত যায় ১৩৮ কোটি টাকা। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলি করতে সরকার কী পদক্ষেপ করছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।
মামলাকারীদের প্রশ্ন, সমস্ত প্রতারিত টাকা ফেরত না পেলেও কেন কমিশনের মেয়াদ বাড়াল না রাজ্য সরকার? কেনই বা উৎবৃত্ত টাকা বিলি করা হল না? সঙ্গে অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরাই বা কেন ক্ষতিপূরণ পাবেন না সে প্রশ্নও তুলেছেন প্রতারিতরা।
আদালতে শ্যামল সেন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘জমা পড়া আবেদন খতিয়ে দেখে প্রতারিতদের একাংশকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে বাকি প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় সরকারের কাছে। সঙ্গে সারদার সম্পত্তি বিক্রি করে উদ্ধার হওয়া ২.৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সেই টাকা বিবাদী বাগের একটি ব্যাঙ্কে শাখায় জমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’