নেই উপযুক্ত যোগ্যতা। যাচাই হয়নি নথিও। অথচ বছরের পর বছর সরকারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি করছেন অন্তত ১২ জন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিস্মিত স্বয়ং বিচারপতি। মামলা থেকে নিজে অব্যহতি নিয়ে সেটিকে জনস্বার্থ মামলায় পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পান ওই ব্যক্তি। তখন তাঁর কোনও নথি যাচাই হয়নি। নথি যাচাই না করেই তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বেশ কিছুদিন পর তাঁর কাছে নথি তলব করে সংসদ। কিন্তু প্রাথমিকে শিক্ষকতা করার যোগ্যতামানের কোনও নথিই দেখাতে পারেননি তিনি। উলটে চাকরি চলে যেতে পারে বুঝে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করেন রিট মামলা।
শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে সেই মামলার শুনানির সময় আইনজীবীর সওয়ালে বিচারপতি জানতে পারেন অন্তত ১২ জন প্রার্থী এভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও চাকরি করছেন। যা শুনে হতবাক হয়ে যান বিচারপতি। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আদালতের সামনে মামলাকারী মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারপতি।
এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলাটিকে রিট পিটিশন থেকে জনস্বার্থ মামলায় পরিবর্তন করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বার বার সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন স্বচ্ছতার স্বার্থেই তাঁর এই পদক্ষেপ।