বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court: নদীর পাড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্কুল, বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

Calcutta High Court: নদীর পাড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্কুল, বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি (HT_PRINT)

সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে একটি খবর প্রকাশ হওয়ার পর তা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে আসে। এরপরেই তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেন। ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকরা যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

নদীর পাড়ে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়। জলের তোড়ে প্রতিদিন ধসে যাচ্ছে পাড়ের মাটি। যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় স্কুলও তলিয়ে যেতে পারে। আর সেই অবস্থাতেও বিপদজনকভাবে প্রতিদিন চলছে স্কুলের ক্লাস। তা দেখেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রুজু করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলায় অবিলম্বে স্কুল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হুগলির জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চক খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলটি নদীর ধারেই অবস্থিত।

সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে একটি খবর প্রকাশ হওয়ার পর তা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে আসে। এরপরেই তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেন। ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকরা যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আজ মামলার শুনানিতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তারপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে স্কুল চালানো যাবে না। প্রয়োজনে গাছ তলায় অস্থায়ীভাবে স্কুল চালাতে হবে। বা অস্থায়ীভাবে অন্য কোনও জায়গায় স্কুল চালাতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এভাবে স্কুল চললে যেকোনও দিন বড়সর বিপদ ঘটতে পারে।’

বর্তমানে ওই স্কুলে রয়েছে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাদের নিয়ে এভাবেই প্রতিদিন চলছে ক্লাস। তার উপর নদীর পাড়ের মাটিও ক্রমাগত ধসে যাচ্ছে। এই মামলায় হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এবং জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে আদালতে তলব করা হয়। সেইসঙ্গে, আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে আদালত।

বন্ধ করুন