Control room for senior citizens: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করছে কলকাতা পুলিশ

কন্ট্রোল রুম একাধিক উদ্দেশ্যে কাজ করবে বলে লালবাজারের সিনিয়র অফিসাররা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হেল্পলাইনের সাহায্যে প্রবীণ নাগরিকদের অনেক সুবিধা হবে। সাধারণত প্রণামের সদস্যের পুলিশ নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

প্রবীর নাগরিকদের জন্য চালু হবে কন্ট্রোল রুম। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)

কলকাতার একাকী প্রবীণ নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। বাংলা নতুন বছরের শুরুতে শহরের ২০ হাজারেরও বেশি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হচ্ছে। শীঘ্রই এই কন্ট্রোল রুমটি চালু করা হবে। ট্যাংরার কাছে কেআইটি বিল্ডিংয়ে এই কন্ট্রোল খোলা হচ্ছে। হেল্পলাইন নম্বর শীঘ্রই প্রণামের সমস্ত সদস্যদের দেওয়া হবে। ৪ কাউন্সিলরের সাহায্যে এই কন্ট্রোল রুম পরিচালিত হবে। একটি সংস্থাকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৪ জনের মধ্যে একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করবেন, তিনি প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখবেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে হস্তক্ষেপের বিষয়ে আবেদন জানাতে পারেন।

কন্ট্রোল রুম একাধিক উদ্দেশ্যে কাজ করবে বলে লালবাজারের সিনিয়র অফিসাররা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হেল্পলাইনের সাহায্যে প্রবীণ নাগরিকদের অনেক সুবিধা হবে। সাধারণত প্রণামের সদস্যের পুলিশ নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। সেখানে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে বাজার করে দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধ এনে দেওয়া সহ যাবতীয় কাজ করে থাকে। কন্ট্রোল রুম চালু হলে প্রণামের সঙ্গে যুক্ত সদস্যের আরও ভালোভাবে পরিষেবা দেওয়া যাবে। প্রবীণ নাগরিকদের আর স্থানীয় পুলিশের উপর নির্ভর করতে হবে না। তবে স্থানীয় পুলিশ আগের মতোই প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য করার পাশাপাশি নিয়মিত যোগযোগ রাখবে। একজন আধিকারিক বলেছেন, কন্ট্রোল রুম চালু হলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল একই সঙ্গে একাধিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। সম্ভাব্য অপরাধ, আইনি সমস্যা, দৈনন্দিন কাজগুলি সম্পন্ন করতে সমস্যা এবং এমনকী প্রবীণদের একঘেয়েমির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে এই কন্ট্রোল রুম।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। প্রতিদিন এই কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা প্রচার করা হবে। বর্তমানে সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রবীণ নাগরিকরা বেশি সাইবার প্রতারকদের প্রতারণার শিকার হন। তা নিয়েও প্রবীণ নাগরিকদের সচেতন করা হবে। এছাড়া, অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।