কলেজের স্নাতকের চূড়ান্ত সেমেস্টারের (অনার্স) পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই শিক্ষকদের খাতা দেখতে হবে। চারটি জেলার প্রায় দেড়শ কলেজের শিক্ষকরা এই বিজ্ঞপ্তিতে কার্যত দিশেহারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনা সরব হয়েছেন শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই থেকে ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে বসে শিক্ষকদের খাতা দেখতে হবে। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অনার্সের খাতা দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ রয়েছে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে স্নাতকের ফল প্রকাশ করতে হবে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির পোর্টাল চালু হবে। ফলে হাতে কম সময় কম রয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষকদের বাড়িতে বাড়িতে খাতা পৌঁছতে গেলে আরও সময় লেগে যাবে। সেই কারণে সময় বাঁচাতেই বিশ্ববিদ্যলয়ে বসে মূল্যায়ণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক জয়িতা দত্তগুপ্ত।
প্রসঙ্গত, চূড়ান্ত সেমেস্টারের অনার্সের পরীক্ষা আগামী ৬ জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে হুল দিবস থাকায় একটি পত্রের পরীক্ষা হবে আগামী ৪ আগস্ট। এখন দূরদূরান্তে যেসব শিক্ষক, অধ্যাপকের বাড়ি রয়েছে তারা কীভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে যাতায়াত করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে প্রবীণ শিক্ষকরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তিতে মোটেও সন্তুষ্ট নন।
সাগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার খাটুয়া বলেন, তাঁর বাড়ি থেকে কলেজ স্ট্রিট পৌঁছতে সময় লেগে যায় পাঁচ ঘণ্টা। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ দিয়েছে তা মানতেই হবে বলে তিনি জানান। শুধু তাই নয়, রাজ্যে করোনা বাড়ছে। এই অবস্থায় এতদূর যাতায়াত করলে সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন অনেক শিক্ষক। এছাড়া আগামী ৫ থেকে ১১ জুলাই কলেজের চূড়ান্ত সেমিস্টারের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। ফলে শিক্ষকরা পরীক্ষার পাহারা দেবেন নাকি মূল্যায়ণ করবেন তাই নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।