এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কড়া পদক্ষেপ করল। হস্টেলে প্রাক্তনীদের নো–এন্ট্রি করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবাসিক নন এমন কেউ হস্টেলে থাকতে পারবেন না। এমনকী যদি আবাসিক না হয়েও কেউ হস্টেলে থাকেন সংশ্লিষ্ট প্রাক্তনী বা অন্য কেউ বিপাকে পড়তে পারেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী তাঁদের ডিগ্রিও বাতিল করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর তার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সুতরাং যাঁরা আবাসিক নন তাঁদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফেলতে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এমন বিজ্ঞপ্তি জারি? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একবছর আগে যে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল তাতে নাম জড়িয়ে যায় প্রাক্তনীদের। যারা প্রাক্তন হয়েও হস্টেলে থাকত বলে অভিযোগ। তারপর কিছুদিন আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। আইন বিভাগের এক আবাসিক ছাত্রকে র্যাগিং করার অভিযোগ ওঠে এক প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। ওই প্রাক্তন ছাত্র আগে কারমাইকেল হস্টেলে থাকত। পড়াশোনা শেষ হলেও ওই ছাত্র সেখানেই থাকছিল বলে অভিযোগ। আর বিশেষভাবে সক্ষম আবাসিক ছাত্রের অভিযোগ, একাধিকবার ওই প্রাক্তন ছাত্র র্যাগিং করেছে। তারপরই ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চা–বাগান থেকে উদ্ধার হাতির মৃতদেহ, শরীরে পচন ধরেছে, ময়নাতদন্তে কালচিনির বন দফতর
আর কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আর যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র কেউ আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যাতে কোনওভাবেই বদনাম না হয় তাই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অন্তর্বতী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে শুক্রবার জানান, ঘটনাটি নিয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিযুক্ত প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অবিলম্বে হস্টেল ছাড়তে বাধ্য করা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই র্যাগিংয়ের ঘটনা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। তাতে অনেকে আতঙ্কিতও বটে। এই বিষয়ে উপাচার্য জানান, এই র্যাগিংয়ের ঘটনা যখন ঘটে তখন হস্টেল সুপার বিশ্ববিদ্যালয়কে না জানিয়ে কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে শোকজ করা হচ্ছে। উপাচার্যের বক্তব্য, ‘এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবাসিক নন, এমন কেউ হস্টেলে থাকতে পারবেন না। এই নির্দেশ যদি কেউ না মানে তাহলে অভিযুক্তের ডিগ্রি বাতিলের ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আছে। সেটা মেনে কাজ করা হবে। প্রয়োজন হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’