হস্টেলে নিগ্রহের অভিযোগ মামলায় আদালতে গোপন জবাববন্দি দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। আদালতে তিনি গোপন জবানবন্দির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জুট ও ফাইবার টেকনোলজির সদ্য প্রাক্তন ছাত্র বিশ্বজিথ হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনের ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ জুলাই ওই পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনাটি অনেক দিনের হওয়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা ছবি পাওয়া মুশকিল। কারণ ১৫ দিনের বেশি ছবি থাকে না। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেসের খরচ দেওয়া নিয়ে একটি গোলমাল হয়। ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও আবাসিকদের নানা অভিযোগ রয়েছে। যাদবপুরকাণ্ডের মধ্যে বিষয়টি সামনে আসায় তা নিয়ে আলোড়ন হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
(পড়তে পারেন। ‘প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখেই সিসিটিভি নিয়ে সিদ্ধান্ত!’ছুটির দিনে JU-তে নতুন উপাচার্য)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধেও আবাসিকদের নানা অভিযোগ রয়েছে। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্র অভিযোগ করেছেন বহু বহিরাগত হস্টেলে থাকেন।
অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত বলেন, 'ওই পড়ুয়ার পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। জুলাই মাসের গোড়া থেকেই সে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তার পরও সে হস্টেলে থাকত।'
এমনিতে যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্যাম্পাসে সিসিটিভির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি টিম তা খতিয়ে দেখবে। একই সঙ্গে র্যাগিং রুখতে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬টি হস্টেল আছে। সেগুলির সিসি ক্যামেরার স্বাস্থ্য করা হবে। র্যাগিং রুখতে লাগাতার প্রচারও চালানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।