কোনওভাবেই বিতর্ক কিছু ছাড়ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই ডিএলএড-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার প্রাথমিক টেটে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে আবারও বিতর্কে জড়ালো পর্ষদ। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা কেউ পেয়েছেন ১০৯ শতাংশ নম্বর আবার কেউ পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। পূর্ণ নম্বরের থেকেও কীভাবে পরীক্ষার্থী নম্বর বেশি পেয়েছেন? তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের ব্রেকআপ প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকায় যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা কোন কোন ক্ষেত্রে কত নম্বর পেয়েছেন তা প্রকাশ করতে বলেছিল হাইকোর্ট। অর্থাৎ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক স্তর, ট্রেনিং, ইন্টারভিউ এই সমস্ততে কত নম্বর পেয়েছেন সেই তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেই মতোই সোমবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে টেটে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের ব্রেকআপ স্কোর প্রকাশ করা হল। তাতেই বেশ কয়েকজন প্রার্থীর এই হারে নম্বর পেতে দেখা গিয়েছে।
যদিও এ নিয়ে ভুল স্বীকার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ভুল সংশোধন করা হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসে এর আগে পূর্ণ নম্বর বা পূর্ণমানের চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার কোনও নজির নেই। সেক্ষেত্রে নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কীভাবে একজন প্রার্থী পূর্ণ নম্বর থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে? তা নিয়ে স্বভাবতই নিয়োগ বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।