দিনে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ যাত্রী ধারণের ক্ষমতা থাকবে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে। মেট্রো রেল সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। আগামী ১ বছর শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চত্বর ঢালাও সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কম সময়ে শিয়ালদহ মেট্রো রেল স্টেশন খালি হয়ে যেতে পারে, সেকথা মাথায় রাখা হচ্ছে। দুটি প্ল্যাটফর্মের মাঝখানের ট্র্যাকে ট্রেন দাঁড়াবে। ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যে চলে যেতে পারবেন। এর পাশাপাশি তিনটি আলাদা ঢোকা ও বেরোনোর পথ রাখা হচ্ছে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু করে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করেই এখন মেট্রোর কাজ জোরকদমে এগোচ্ছে।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক যাত্রীর সমাগম হবে, সে কথা ভেবে নিয়েই শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে দ্রুত বেরিযে য়েতে পারেন, সেটাই মূল লক্ষ্য। যাত্রী বাড়লে তবেই ব্যবসা বাড়বে। তাই যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কথাই মাথায় রাখা হচ্ছে।
মেট্রো স্টেশনের দায়িত্বে থাকা সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, স্টেশনে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৮ হাজার যাত্রীর প্রবেশ ও ২৪ হাজার যাত্রীর প্রস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর প্রধানত দুটি পয়েন্ট রয়েছে। একটি পশ্চিম দিকে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের পাশে আর আরেকটি শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায়। যে যাত্রীরা মেট্রো থেকে নামার পর বউবাজার বা রাজাবাজারের দিকে যেতে চাইবেন, তারা শিয়ালদহ ফ্লাইওভার সংলগ্ন পথ ধরবেন। আর বেলেঘাটার দিকের যাত্রীদের জন্য শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার টার্মিনাল সংলগ্ন পথ রয়েছে।