ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা দেবে ‘অপরাজিতা’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল' পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপরাজিতা’। মঙ্গলবার বিলটি পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে যে সংখ্যা আছে, তাতে অনায়াসে বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে যাবে। তবে রাজভবনে সেই ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল' যাওয়ার পরে রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস কী করেন, সেদিকে নজর থাকবে।
রাজ্যের নয়া বিলে শাস্তির কী কী বিধান আছে?
১) ধর্ষণ: আজীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
২) গণধর্ষণ: আজীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
৩) ধর্ষণ এবং খুন: মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। জরিমানার বিধান রয়েছে।
৪) ধর্ষণ এবং নির্যাতিতা কোমায়ে চলে গেলে: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সঙ্গে জরিমানা।
৫) নাবালিকার (অনূর্ধ্ব ১৬ বছর) ধর্ষণ: সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন কারাদণ্ড, ন্যূনতম ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
৬) গণধর্ষণ (বয়স ১৮ বছরের কম): আজীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
৭) অ্যাসিড হামলা: আজীবন কারাদণ্ড, জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
৮) নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ (ছবি, নাম, ঠিকানা, বাবা-মা'র ছবি, পরিচয়): ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
৯) পুনরায় অপরাধ: আজীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা (জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা)।
আরও কী কী নিয়ম আছে সেই বিলে?
১) অপরাজিত স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন। সেই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন মহিলা পুলিশ অফিসার। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সেশনস কোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া চলবে।
২) ২১ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। দরকার হলে বাড়তি ১৫ দিন বরাদ্দ করা হবে।
৩) তদন্তে দেরি হলে তদন্তকারী অফিসারকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার কী কী হতে পারে?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল' নিয়ে ঘণ্টাদুয়েকের মতো আলোচনা করা হবে। নিজের বক্তব্য পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেতারাও নিজেদের বক্তব্য পেশ করবেন বলে সূত্রের খবর।