নাকা তল্লাশি এড়াতে রাতের কলকাতায় বেপরোয়া গতিতে ছুটল গাড়ি। উঠে গেল ফুটপাথে। ঘটনায় পুলিশ কর্মী ও পথচারীসহ মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে। যদিও শেষ পর্যন্ত গাড়িচালককে ধরে ফেলে পুলিশ। পাশাপাশি গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ব্যস্ত সময় এই ঘটনা ঘটলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো রুখতে আরও কড়া পুলিশ, বাড়ানো হবে নাকা চেকিং
এদিন প্রথমে দ্রুত গতিতে গাড়িটিকে যেতে দেখে অ্যালেন পার্কের কাছে আটকানোর চেষ্টা করেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু, পুলিশের নির্দেশ না মেনে সেখানে থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটি বেরিয়ে যায় গাড়িটি। তখন পরের সিগনালে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টকে বিষয়টি জানানো হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি বরদান মার্কেটের কাছে নাকা চেকিংয়ে থাকা পুলিশকে সতর্ক করেন। ট্রাফিক কর্মীরা সেখানে গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেখানে দ্রুতগতিতে নাকা চেকিং ভেঙে পালিয়ে যায় চালক। সেই সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট সহ এক হোমগার্ড আহত হন।
সেখানেও গাড়িটিকে ধরতে না পেরে সরাসরি খবর চলে যায় ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। তখন থিয়েটার রোডে সিগন্যাল লাল করে গাড়িতে ধরার চেষ্টা করা হয়। তারপরেও গাড়িটি ধরতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। চালক সেই সময় গাড়ি ঘুরিয়ে একটি ফুটপাথের উপর দিয়ে উল্টো দিকের রাস্তা ধরে চলতে শুরু করে। তাতে তিনজন পথচারী গাড়ির ধাক্কায় অল্পবিস্তর আহত হন। তবে ফুটপাতে যাওয়ার সময় গাড়িটি একটি লোহার পোলে গিয়ে ধাক্কা মারে। তখনই গাড়ি চালককে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তারা গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ গিয়ে চালককে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এমন ঘটনায় উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। গাড়িচালক কি মত্ত অবস্থায় ছিল? কেনই নাকা তল্লাশি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল গাড়ির চালক। তাহলে সেক্ষেত্রে গাড়িতে আপত্তিকর কিছু কি ছিল? তা জানতে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় আহতরা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। প্রসঙ্গত, রাতের কলকাতায় এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করে গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গাড়ির বেপরোয়া গতির বলি হয়েছেন অনেকেই।