এবছর ৫০ হাজারের বদলে ক্লাবগুলোরে দুর্গাপুজোর জন্য ৬০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার বিরোধিতা করে সরকারি কর্মীরা ইতিমধ্যই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এখানে কোটি কোটি টাকার বকেয়া ডিএ মেটানো বাকি, সেখানে কীভাবে ক্লাবগুলোকে এত টাকা অনুদান? এবার এই একই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করলেন এক চিকিৎসক। তাঁর প্রশ্ন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকা এখনও বকেয়া। এই আবহে সরকার ক্লাবগুলোকে অনুদায় দেয় কীভাবে?
জানা গিয়েছে, মামলাকারী চিকিৎসকের নাম শান্তনু। না, শান্তনু সেন নয়। ইনি পূর্ব বর্ধমানের চিকিৎসক শান্তনু দে। তাঁর বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে রোগীদের। বলা হচ্ছে, ফান্ড নেই। সরকার সেই ফান্ডে টাকার ব্যবস্থা না করে ক্লাবগুলোকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কেন দিচ্ছে? মামলাকারীর আরও প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যের বাজেটে এই অনুদানের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ ছিল কি না?
২০২১ সালের দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য। এবার তা বেড়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিক অনুদান–সহ বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাও গতবারের থেকে এবার ১০ শতাংশ বেশি। এই অনুদান বাবদ আনুমানিক খরচ হবে ২৫৮ কোটি টাকা। তবে স্বাস্থ্যসাথীর টাকা বকেয়া। তাই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় আইনজীবীদের একটি সংগঠনের তরফে। মামলাকারীর বক্তব্য, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানো হয়নি। বরং পাল্টা মামলা করা হয়েছে। এই আবহে তাদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন পুজো কমিটিগুলিকে এই বাড়তি অনুদান দিচ্ছেন?