প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক ঘণ্টায় ফোন নম্বর রহস্য ভেদ করে ফেলল সিবিআই। বুধবার এক অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি ফোন নম্বরের মালিকের নাম অনুসন্ধান করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে ওই নম্বর তৎকালীন নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির।
বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির শুনানি চলাকালীন অযোগ্য ঘোষিত এক প্রার্থী দাবি করেন ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, বিধাননগরে সংসদের অফিসে গিয়ে সংসদ সভাপতির হাত থেকে নিয়োগপত্র নিতে হবে। সেই মতো আমি সংসদের অফিসে গিয়ে নিয়োগপত্র আনি। এর পরই এই নম্বর কার তা সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি উল্লেখ করেন, এই নম্বর প্রাথমিক সংসদের কারও হলে তো উদ্বেগের ব্যাপার। সিবিআই সত্য সামনে আনার পর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে বলে ওই অযোগ্য প্রার্থী দাবি করেছেন সেটি তৎকালীন নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তিকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনায় প্রাথমিক দুর্নীতির সঙ্গে ফের একবার জড়াল নদিয়ার নাম। এই নদিয়া জেলাতেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডা মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তিনি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার আরও ১৪০ জনকে চাকরি থেকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।