ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত পাঁচ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করল সিবিআই। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বর্তমানে এই মামলায় চারজন পলাতক রয়েছে। অমিত দাস, টুম্পা দাস, অরূপ দাস, সঞ্জয় বারিক ও পাপিয়া বারিককে খুঁজে দিতে তাই পুরস্কার ঘোষণা করল সিবিআই। অভিযোগ ভোটের ফলাফল বের হওয়ার দিনই অভিজিৎ সরকারকে কাঁকুরগাছিতে নৃশংসভাবে ঘিরে ধরে খুন করা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিজিত্কে খুন করেছে। এদিকে মৃত বিজেপি কর্মীর দেহকে ঘিরেও নানা টানাপোড়েন চলেছিল। কম্যান্ড হাসপাতালের মর্গে থাকা দেহ প্রসঙ্গে পরিবারের দাবি ছিল, বিকৃত ওই দেহ অভিজিতের নয়। পুলিশ এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তও হয় অভিজিতের।
২ মে ভোট গণনার সন্ধ্যায় বেলেঘাটায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। এমনকী তার পোষ্য কুকুরটিও রক্ষা পায়নি। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা একাধিকবার অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন। এছাড়াও যে জায়গায় অভিজিতের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গার ভিডিয়োগ্রাফিও করেছেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই।