বিরোধীদের গুড় বাতাসা খাওয়ানোর নিদান দিতেন তিনি। চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথাও বলতেন তিনি। সূত্রের খবর, লাল বাতি লাগানো গাড়ি চেপে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি। আর সূত্রের খবর এদিন চার ঘণ্টা সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তিন দফায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। এরপরই এসএসকেএমে চলে আসেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
তবে এভাবে ঝিমিয়ে পড়া কেষ্ট মণ্ডলকে দেখতে অভ্যস্ত নন দলের অনেকেই। এদিন নিজাম প্যালেস থেকেও তিনি রক্ষীদের কাঁধে ভর দিয়ে বের হন। এরপর কোনওরকমে গাড়িতে বসেন তিনি। এদিকে সেই গাড়িতেও লাল বাতি উধাও। লাল বাতি ছাড়াই কালো গাড়িতে চেপে তিনি এসএসকেএমে আসেন।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি থাকা নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছিল। এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে এদিন তিনি যখন নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে আসেন তখন অবশ্য অনুব্রতর গাড়িতে লাল বাতি ছিল না। হাসপাতালেও তিনি লাল বাতি ছাড়াই গাড়িতে চেপে আসেন তিনি। তবে এদিন হাসপাতাল চত্বরেও দৃশ্যতই বিধ্বস্ত ছিলেন অনুব্রত। ধীরে ধীরে তিনি রক্ষীদের কাঁধে ভর দিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিছুটা তিনি হুইল চেয়ারেও যান। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শরীর কী খারাপ লাগছে? তিনি বলেন, হ্যাঁ হ্যাঁ।
এদিকে গাড়ির সামনের সিটেও তিনি বুকে হাত দিয়ে বসেছিলেন। অনেকের মতে, এভাবে ঘেমে নেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় কেষ্ট মণ্ডলকে বিশেষ দেখা যায়নি আগে। বিরোধীরাই এতদিন তাঁর হুঁশিয়ারি শুনে টেনশনে ঘেমে নেয়ে যেতেন। তবে তিনি আপাতত উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।