বগটুই হত্যাকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে। আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে জানাল সিবিআই। এদিন তদন্তকারীরা দাবি করেন, বগটুইয়ের ঘটনার রাতে মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অনুব্রত মণ্ডলের। আপাতত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা জেলবন্দি গরুপাচারের অভিযোগে। এবার যুক্ত হল বগটুই। বগটুই কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের হেফাজতে মৃত্যুর হলফনামায় আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই।
ঠিক কী দাবি করেছে সিবিআই? সিবিআই সময় নির্দিষ্ট করে হলফনামায় দাবি করেছে, ২১ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিটে কথা হয়েছিল আনারুল–অনুব্রতর। এমনকী ২২ মার্চ ফের দু’জনের মধ্যে কথা হয়। তবে ফোনে দু’জনের কী কথা হয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সিবিআই দাবি করেছে, বগটুই ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার দিন কোথাও কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের একটা যোগ ছিল।
আর কী দাবি করা হয়েছে? মঙ্গলবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার আগে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতার জামিনের বিরোধিতা করে হলফনামায় বগটুই ঘটনার উল্লেখ করল সিবিআই। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার দিন আর তার পরের দিন দু’বার ফোনে কথা হয় অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের। গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তারপরই রাতে বগটুই গ্রামে আগুন জ্বলে ওঠে। তাতে পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। রাজ্য পুলিশের হাতে ১১ জন গ্রেফতার হয়। অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের ঘর জ্বালিয়েছে ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠরা।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাটের ব্লক সভাপতি ছিলেন আনারুল হক। তিনি বগটুই হত্যা মামলায় অন্যতম ষড়যন্ত্রী হিসেবে জেলবন্দি। অনুব্রতও জেলবন্দি। তাহলে কি অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলেই সবটা করা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। এবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই নিয়ে নালিশ করেছে সিবিআই। বগটুইয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রতর নাম উঠে আসছিল।