লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এর পিছনে রাজ্যের হাত দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই এফআইআরের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার শুনানিতে আদালতে সিবিআই দাবি, উদ্দেশপ্রনোদিত ভাবেই এফআইআরয়ে সাত আধিকারিকের নাম রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সিবিআই বলে, 'হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত তদন্ত চলছে। গরুপাচার মামলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি।' যে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ ভট্টাচার্য গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার। এর মধ্যে সুশান্ত চট্টাচার্য অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছেন। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, লালন শেখের স্ত্রীর করা এফআইআরের পিছনে নবান্নের মদত রয়েছে। বিচারপতি বলেন, অন্য মামমাল সঙ্গে যুক্ত ঘটনার উল্লেখ আদালতের কাছে করার দরকার নেই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, এই ঘটনায় কী করে সিআইডি তদন্ত হয়? এর জবাবে বিচারপতি বলেন, স্থানীয় থানার উপর সিআইডির ভরসা নেই সে কারণে সিআইডি দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।
রাজ্যের কৌঁসুলি বলেন,'সিবিআই শুধু শুধু রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। মৃতের স্ত্রী কি অভিযোগে জানানোর কোনও অধিকার নেই?' এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকেও জুড়তে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।