সিবিআইকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হলেও নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ বিজেপি সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে ফের একবার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। দিলীপবাবুর সোজাসাপটা প্রশ্ন, ‘নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবারকে সুবিচার দিতে পারিনি। প্রশ্ন করব না?’
এদিন সকালে নিউটাউনে মর্নিয় ওয়াক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমি যখন সভাপতি ছিলাম, আমাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। খুন হয়েছে ২০০ কর্মী। ভোটের পরে ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছে। আমরা কোর্টে গিয়েছিলাম সেজন্য। কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমার প্রশ্ন, সেজন্য কজন সাজা পেয়েছে? কজন নিহত কর্মীর পরিবারকে আমরা সুবিচার দিতে পেরেছি? এই প্রশ্ন কি আমি করতে পারি না? তাতে যদি কারও খারাপ লাগে, লাগতেই পারে। আমরা কাউকে খুশি করার জন্য রাজনীতি করছি না’।
বলিউডের নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তির সঙ্গে রাহুল গান্ধির মিল পেল স্বরা, ‘সবাই বলে পাপ্পু’
তাঁর প্রশ্ন, ‘এখানকার পুলিশ প্রশাসনের ওপরে আমাদের ভরসা নেই। আমরা তাই কোর্টে গেছিলাম। কোর্ট সিবিআইকে তদন্ত করতে বলেছিল। সিবিআই যদি না করে সেই কাজ, আমি যদি সুবিচার না পাই, আমি বলব না? কার সিবিআই দেখার দরকার নেই। পাবলিকের টাকায় চলছে। আমাদের দেশের সংস্থা। আমাদের ভরসা আছে। যখন ভরসা থাকে না তখন আমরা প্রশ্ন তুলি’।
রবিবার এক অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বলেন, সিবিআইয়ে সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়া রয়েছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে সারদা - নারদ তদন্ত এগোয়নি। এটা বুঝতে পেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি থেকে ইডিকে পাঠিয়েছেন।