সারদার লাল ডায়েরি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার ফের ডায়েরি কাণ্ড। তাও আবার বিনয় মিশ্র মামলায় উঠে এল ডায়েরি রহস্য। সেই ডায়েরিতে নাকি একাধিক প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। যা পর্দা ফাঁস করতে পারে কয়লা–গরু পাচারের বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার বিনয় মিশ্র মামলায় এমন এক ডায়েরি হাতে এল সিবিআই আধিকারিকদের। এই ডায়েরি লাল না নীল কোন রঙের তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে আদালতে বিনয় মিশ্র মামলায় সিবিআইয়ের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, বিনয় মিশ্র মামলা একটা বড় ষড়যন্ত্র। এই মামলায় গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ইমানুল টাকা পাঠাত বিএসএফ কমান্ড্যান্ট মনোজ সানাকে। সেখান থেকে তা সতীশের মাধ্যমে টাকা যেত বিনয়ের হাতে। এই সতীশ ছিল অন্যতম বিনয়ের সহযোগী। যাকে অনেক প্রভাবশালীই চিনত। ভরসা করত তাকে দায়িত্ব বা টাকা দিলে ঠিক বিনয়ের হাতে পৌঁছবে। এই কারা টাকা দিত, কোন কাজের জন্য কত টাকা এবং প্রভাবশালীদের ফোন নম্বর সেই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা মনোজ সানার ডায়েরিও পেয়েছে। সেখানে হুমায়ুন কবিরের নাম উঠে এসেছে। কিন্তু কে এই হুমায়ুন কবীর তা জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা। আর এই মামলায় বিএসফ এবং সরকারি অফিসাররাও সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, এই বিনয় মিশ্র ভানুয়াতুর দ্বীপে আত্মগোপন করে আছে বলে মনে করছে সিবিআই। তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া সিবিআই। দেশে ফিরে এলে তাকে গ্রেফতারও করা হবে না বলে আদালতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল, বিনয় মিশ্র যদি ১২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ফেরেন তবে তাকে গ্রেফতার করা হবে না।