প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, মঙ্গলবার প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে পারবেন মামলার সঙ্গে যুক্ত। গত ১৩ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ৩৬ দিনের মাথায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
ঠিক কী নিয়ে মামলা? আদালত সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিয় সরকার নামের একজন চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নাম অতিরিক্ত মেধা তালিকায় ছিল। সেখানেই কারচুপি করে তা মূল তালিকায় আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি বলেও পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছিল? এই মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নিয়োগ হওয়া ২৬৯ জন শিক্ষকের অবিলম্বে বেতন বন্ধ করতে হবে। আর তাঁরা কোনওভাবেই স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর চলে তদন্ত। যার রিপোর্ট আজ জমা পড়েছে।
তারপর ঠিক কী হয়েছিল? এই নির্দেশের পর পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী এই মামলায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করা হয়। আর মানিকবাবুর যাদবপুরের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় সিবিআই। পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েও তদন্ত করে সিবিআই। এদিন প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।