আরজি কর রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা সিবিআই-এর। সিঁথিতে সুদীপ্তর হাসপাতালে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। গোটা চত্বরটি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জেরা করছেন সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা। আজ সুদীপ্তর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সুদীপ্ত রায় পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলেরও সভাপতি। প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় এক মাস ধরে সেই হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধেও সেই কর্মবিরতি এবং আন্দোলন থামছে না। এই সবের মাঝেই সেভাবে দেখা মিলছিল না সুদীপ্ত রায়ের। রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর হাসপাতালের এত ঘটনার মাঝেও সুদীপ্তবাবুর দেখা না মেলায় চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর দলের অন্দরেও। আর এহেন সুদীপ্তর হাসপাতাল তথা বাড়িতে পৌঁছলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: সিজার তালিকা বলছে 'আছে', পোস্টমর্টেম বলল 'নেই', রহস্য নির্যাতিতার পোশাক নিয়ে)
আরও পড়ুন: একের পর এক 'ফোল্ডার', সত্যি সন্দীপের ল্যাপটপ থেকে মিলেছে নাকি 'ওসব'?
আরও পড়ুন: 'দিদিমণির কোলে বিনীত গোয়েল দোলে', আরজি কর আন্দোলনের মাঝে বিস্ফোরক সুকান্ত
উল্লেখ্য, আদতে শ্রীরামপুরের বিধায়ক হলেও সুদীপ্ত রায় উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড়ের বাসিন্দা। সেখানে তাঁর একটি নার্সিং হোমও রয়েছে। তবে দাবি করা হচ্ছে, সুদীপ্ত রায়কে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, গত বছরই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসেছিলেন সুদীপ্ত রায়। তবে এই পদ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে। এর আগে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সুদীপ্তকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছিল তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা শান্তনু সেনকে। পরে অবশ্য অক্টোবরে ফের শান্তনুকে সেই পদ থেকে সরানো হয়। ফিরিয়ে আনা হয় সুদীপ্তকেই। (আরও পড়ুন: 'জলভাত কেস', আরজি কর কাণ্ডে ফরেন্সিক দলে ছিল ২ সিভিক ভলান্টিয়ার!)
আরও পড়ুন: আরজি কর প্রতিবাদের মাঝে CJI চন্দ্রচূড়ের নামে দেওয়াল লিখন স্বাস্থ্য ভবনের কাছে!
আরও পড়ুন: 'রাত দখলে কমছে লোক', বিস্ফোরক সুকান্ত, ডাক্তারদের শুভেন্দু বললেন, 'এভাবে হবে না'
প্রসঙ্গত, গতবছর দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে মুর্শিদাবাদে সরানো হয়েছিল। সেটা সেপ্টেম্বর। পরে অবশ্য সন্দীপকে ফের আরজি করের অধ্যক্ষ পদেই বহাল রাখা হয়। যা নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। এর পরপরই শান্তনুকে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল। এদিকে আরজি করের সাম্প্রতিক ঘটনায় শান্তনু 'পার্টি লাইন' থেকে বাইরে এসে বেনজির ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিলেন আরজি করের প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এই আবহে দলের কোপও পড়েছে তাঁর ওপরে। কিন্তু এত কিছুর মাঝে সুদীপ্তর দেখা মেলেনি। এদিকে সুদীপ্ত রায়ের এই 'নিরুদ্দেশ' হওয়া নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'সুদীপ্ত রায় সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। এক সময় শ্রদ্ধা করতাম। আরজি করের মেশিন নিজের নার্সিং হোমে লাগিয়েছেন। পুরোনো মেশিন আরজি করে চালান দিয়েছেন।'