আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তভার মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই নিহত চিকিৎসকের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, কল লিস্ট থেকেই ওই রাতে ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত থাকতে পারেন তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে সিবিআই। সেই সূত্রে জেরা করা হতে পারে একাধিক ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন - আরজি করকাণ্ডে ছেলেকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে দলেরই একাংশ: সৌমেন মহাপাত্র
পড়তে থাকুন - ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসতে পারবেন না সন্দীপ, স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে নিহত চিকিৎসক কার কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তা জানতে চান গোয়েন্দারা। ঘটনাক্রম অনুসারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে শেষবার কথা হয় তাঁর প্রেমিকের। এর পর সেমিনার রুমে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে নৈশাহার করেন তিনি। তার পর চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু ঘটনাক্রম কি এতটাই সরল? না কি মহিলা চিকিৎসক যে একা সেমিনার রুমে রয়েছেন তা আগে থেকেই চিহ্নিত করে রেখেছিল কেউ বা কারা?
গভীর রাতে কী করে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সেমিনার রুমে ঘুমন্ত মহিলা চিকিৎসকের সন্ধান পেলেন তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশের দাবি, জেরায় সঞ্জয় জানিয়েছে, অপারেশন থিয়েটার খুঁজতে গিয়ে সেমিনার হলে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু অত রাতে যখন অত্যন্ত জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকে তখন সঞ্জয়ের অপারেশন থিয়েটার খোঁজার দরকার পড়ল কেন? তাছাড়া সঞ্জয়ের এই দাবির স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। শুধুমাত্র অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশি তদন্তে অনাস্থা, CBI তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
নিহত মহিলা চিকিৎসকের কল লিস্টে এই সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতেও এই ঘটনায় আরও কারও যুক্ত থাকার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রায় ঘোষণার সময় জানিয়েছে, ৫ দিনে মাত্র ১ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। এবার দেখার, নির্যাতিতার ফোনের কল লিস্ট থেকে উঠে আসে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।