আরও আগ্রাসন বাড়ল। আর তাতেই নারদ মামলায় নাটকীয় মোড় নিল। বুধবার এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পক্ষ করল সিবিআই। নারদ কাণ্ডের শুনানি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। আর মামলার অন্যতম পক্ষ করা হল মুখ্যমন্ত্রী–আইনমন্ত্রীকে। এমনকী এই মর্মে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
সিবিআইয়ের দাবি, নারদ মামলার শুনানির পরিবেশ এই রাজ্যে নেই। কারণ তাঁদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃত চার হেভিওয়েট অর্থাৎ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শুনানির দিন নিজাম প্যালেসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা জড়ো হয়ে ধর্ণায় বসেছিলেন।
এমনকী শুনানি চলাকালীন আদালতে বসেছিলেন আইনমন্ত্রী–সহ একাধিক মন্ত্রী। তাঁদের উপস্থিতি বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাই তাঁরা মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। আদালতের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী–সহ বাকিদের এই মামলায় যুক্ত না করা হলে সিবিআইয়ের দাবির ভিত্তি থাকত না। তাই এই কৌশলী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এতে একটা চাপও তৈরি করা যাবে। কিন্তু আবার অনেকে মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত যদি আদালত মেনে নেয় তাহলে ফের সুদীপ মডেল হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন চার নেতা–মন্ত্রী। তবে তাঁদের মধ্যে তিনজন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জ্বর রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের।বুধবারই শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলা সরানোর আবেদন ও জামিনে স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার শুনানি।