নারদ–কাণ্ডের তদন্ত শেষ হলেও চার্জশিট পেশ করতে পারছে না সিবিআই। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। কারণ চার্জশিট পেশের অনুমতি চেয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভার স্পিকারের কাছে আর্জি জানানো হলেও, এখনও সাড়া মেলেনি। এমনকী অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার নামে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে ১১ মাস আগে। কিন্তু এখনও অনুমোদন আসেনি। তাই সিবিআই কর্তারা এখন চুপচাপ।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট নেতা–মন্ত্রীদের কাছ থেকে ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আয়–ব্যয়ের বিস্তারিত হিসেব জানতে চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে নারদ নিউজ়ের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনের ভিডিও রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।
নারদ–কাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এখন বিজেপিতে। মুকুল–ঘনিষ্ঠ আইপিএস মির্জা এখন সাসপেন্ড হয়ে আছেন। সুলতান আহমেদ মারা গিয়েছেন। তাঁর ভাই ইকবাল আহমেদ অসুস্থ। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ইদানীং দলের দূরত্ব বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। মদন মিত্র সক্রিয় নন। অপরূপা পোদ্দারেরও দলের সাইডলাইনে। তবে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সৌগত রায় সবক্ষেত্রেই সক্রিয় আছেন।
অভিযুক্তদের অনেকেরই দাবি, লোকসভা ভোটের চাঁদা হিসেবেই তাঁরা ম্যাথুর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হিসেবে ওই টাকার উল্লেখও রয়েছে। ম্যাথু একটি সিডি জমা দিয়েছেন। কিন্তু মূল আইফোনটি জমা দেননি। অ্যাপল সংস্থার কাছে বারবার লিখেও তাতে মজুত ডেটা হাতে পায়নি সিবিআই। ফলে মামলাটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
ভিডিও’য় দেখা টাকা হস্তান্তরের প্রতিটি স্থান ফের মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বারবার দরবার করেও কেন অনুমতি মিলছে না তা জানতে পারেননি সিবিআই কর্তারা।