কয়লা পাচারকাণ্ডে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর সিবিআই-এর নজর বহুদিনের। অভিষেকের পাশাপাশি এই মামলায় তাঁ স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অভিষেক ঘনিষ্ঠদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই আবহে এবার সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখে অভিষেকের সংস্থার এক কর্মীকে। শুক্রবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেকের সংস্থার কর্মী সুজয় ভদ্রকে। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে কয়লা পাচারের টাকা পাঠানোর বিষয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের থেক উপার্জিত টাকার একটি বড় অংশ পাঠানো হয়েছিল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেকের সংস্থার কর্মীকে। উল্লেখ্য, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের’ কোষাধ্যক্ষ ছিলেন সুজয়। এর আগে রক্ষাকবচের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সুজয়। তবে আদালত সুজয় ভদ্রকে রক্ষাকবচ দেয়নি। এই আবহে সিবিআই কর্তাদের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। এর আগে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির অফিসে জেরা করেছিল ইডি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ইডি আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে সেবার কথা বলেছিলেন। তবে তারপরেও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক। এবার কয়েকদিনের ব্যবধানে অভিষেকের পিএ ও সংস্থার কর্মীরে জেরা করল সিবিআই। এদিকে একাধিকবার রাজ্য মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার মলয়বাবুর কাছে তৃতীয় দফার নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইডি-র সদর দফতরে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদিও রাজ্যের আইনমন্ত্রী সিবিআই দফতরে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।