রানীকুঠি, সোদপুরের পর এবার বাগুইহাটি। সকাল থেকে ইডি–সিবিআই রাজ্যজুড়ে হানা দিতে বেরিয়েছে। এবার চিটফান্ড মামলার তদন্তে বাগুইহাটির এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। দীপঙ্কর হীরা নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানির কাছ থেকে দীপঙ্কর হীরার নাম পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর। সুতরাং সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা শহরে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই সূত্রে খবর, রাজু সাহানির কাছ থেকে যে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটিও এই ব্যবসায়ীর বলে তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। আবার গরুপাচার মামলায় সিউড়ি এবং বোলপুরের ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চার আধিকারিককে ডেকে পাঠাল সিবিআই। আজই নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কেমন বাড়ি কাপড়ের ব্যবসায়ীর? ঝা চকচকে বাড়ি। পরতে পরতে রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। পাঁচতলা বাড়ি। এখানেই রয়েছে শাড়ির গোডাউন। রয়েছে অফিস ঘর। সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে বাড়ি থেকে কী উদ্ধার হয়েছে, তা জানাননি তদন্তকারীরা। রবিবার বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সুবোধ অধিকারীর বাড়ি, দক্ষিণদাঁড়ি, পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশির পর তাঁর আপ্তসহায়ক ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে আসে সিবিআই। জেরা করার পর রাতে বেরিয়ে যান দুই নিরাপত্তারক্ষী।
সিবিআই কেন ডাকল ব্যাঙ্কের অফিসারদের? সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট তাদের হাতে এসেছে। অনুব্রতর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামেও একাধিক ব্যাঙ্কে টাকা রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান। তাই বোলপুর ও সিউড়ির ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চার আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকী কয়েকটি নথি আনতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় এই তদন্ত চলছে।