বাংলাদেশে গরু পাচার চক্রের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাল সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা লাগোয়া বিধান নগরের এক বিএসএফ আধিকারিকের বাড়িও। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে গরু পাচারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ওই বিএসএফ আধিকারিক।
এদিন কলকাতার তপসিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট ও কামদুনি, মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এর মধ্যে প্রধান হানাটি চলে বিধাননগরে বিজে ৫৯ নম্বর বাড়িতে। অভিযুক্ত বিএসএফ কম্যান্ড্যান্ট সতীশকুমারের বাড়ি সেটি। তল্লাশিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বর্তমানে অভিযুক্ত আধিকারিক কর্ণাটকে কর্মরত।
জানা গিয়েছে, গরু পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সতীশকুমারের নাম জানতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ধৃতের দাবি ছিল, বিএসএফ কম্যান্ড্যান্টকে গরু পাচারে ছাড় দেওয়ার জন্য অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল পাচারকারীরা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে গরুপাচার রোধে বিএসএফকে বিশেষ তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকার। তার জেরে বাংলাদেশে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে মাংসের দাম। কিন্তু গরু পাচার পুরোপুরি রোখা যায়নি। কাদের মদতে এখনো পাচার চলছে তা খুঁজে বার করতেই তদন্তে নেমেছে CBI.