অযোগ্যদের নিশ্চই ভালোবেসে নিয়োগ দেওয়া হয়নি? তাহলে তারা কী ভাবে নিয়োগ পেল তা খুঁজে বার করতে হবে সিবিআইকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল কল্যাণময়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। সেখানে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, কল্যাণময়বাবু ১১৯ দিন জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘তদন্ত মাঝপথে রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। কল্যাণময়কে মুক্তি দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।’ এর পর বিচারপতি বাগচী প্রশ্ন করেন, ‘অযোগ্যদের কি ভালোবেসে চাকরি দেওয়া হয়েছিল? তা না হয়ে থাকলে কেন তাদের চাকরি দেওয়া হল তা খুঁজে বার করুক সিবিআই।’
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, এসপি সিনহার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই চক্রান্তে অংশগ্রহণ করেছিলেন কল্যাণময়। ভুয়ো সুপারিশপত্র নিজে হাতে ছাপিয়েছিলেন তিনি। এর পর বিচারপতি বলেন, কী ভাবে এই দুর্নীতি হয়েছে তা বিস্তারে জানতে চায় এই আদালত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত সেপ্টেম্বরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে CBI.