পরীক্ষার টেনশনে ভুল করে ফেলেন এক পরীক্ষার্থী। আর এটা এমন একটা ভুল যার জেরে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেখানে ত্রাতার ভূমিকায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। কারণ পরীক্ষার্থী ভুল বুঝে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে গিয়েছেন। সিবিএসই’র মতো পরীক্ষা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই পরীক্ষার্থী জোকায় পৌঁছে যান। অথচ তাঁর যাওয়ার কথা তারাতলায়। কারণ সেখানেই তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র। আর ঘড়ির কাঁটা থেমে থাকে না। সুতরাং সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলে বিপদ আছে। কিন্তু সঠিক কেন্দ্রের দূরত্ব পরীক্ষার্থীর অবস্থান থেকে অনেকটা। এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশ গ্রিন করিডর করে জোকা থেকে তারাতলায় পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই পৌঁছে দিল
এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। আজ, শনিবার শুরু হয়েছে সিবিএসই’র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। আর তা নিয়ে পরীক্ষার্থীরা যেমন টেনশন করছেন তেমন তাড়াতাড়ি করছেন। আর তার জেরেই ভুল হয়ে গিয়েছে। মহেশতলা এলাকার এক স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে তারাতলার একটি স্কুলে। কিন্তু মহেশতলার ওই স্কুলের একজন ছাত্র এবং তাঁর অভিভাবক পৌঁছে যান হরিদেবপুর থানার অর্ন্তগত জোকার স্কুলে। সেখানে পৌঁছে বুঝতে পারেন ভুল স্কুলে এসে পড়েছেন তাঁরা। আসলে যেতে হবে তারাতলার স্কুলে। কিন্তু হাতে সময়ও কম। এই অবস্থায় টেনশনে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় আহত তিন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি কল্যাণী হাসপাতালে
তাহলে কি পরীক্ষা দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন উঠতে থাকে সকলের মনে। পরীক্ষার্থীর টেনশন আরও বেড়ে যায়। পুলিশের কাছাকাছি তাঁরা যেতেই এগিয়ে আসেন ওখানের কর্তব্যরত বেহালা এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সুভাষ অধিকারী। তখন পুলিশকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন পড়ুয়ার অভিভাবক। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় প্রায় হয়ে গিয়েছে। তখন এক মুহূর্তও দেরি না করে সুভাষবাবু ঠাকুরপুর থানার একটি গাড়ি আনিয়ে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে দেন। যা দেখে মনে বল পান তাঁরা। কিন্তু সংশয় ছিল। যানজটের মধ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে তো? প্রশ্ন ওঠে তাঁদের মনে।
তবে পুলিশ তো আগাম অনেকটা এগিয়ে থাকেন। তাই লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে গ্রিন সিগন্যালের ব্যবস্থা করে দেন। রাস্তাতে যাতে কোনও বাধা না পেতে হয় সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আর তার ফলেই জোকা থেকে তারাতলার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে পৌঁছে দেয় পুলিশ। স্কুলের পক্ষ থেকে পড়ুয়াকে প্রথমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। সেখানেও কলকাতা পুলিশ সবটা বুঝিয়ে বলে দেয় কর্তৃপক্ষকে। তাতে সমাধান হয়। পরীক্ষা দিতে পারেন ওই পরীক্ষার্থী। আর অভিভাবকরা পুলিশকে করজোরে ধন্যবাদ জানান।