ভূত চতুর্দশী, কালী পুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাংলার মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক আঞ্চলিক উন্নয়ন নিগম (CDAC)।
কোভিড সংক্রমণ রোধে জারি করা লকডাউনের কারণে গৃহবন্দি মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়ায় উদ্যোগী হয়েছিল সংস্থা। এবার ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক, কালী পুজোর ভোগ, এমনকি ভাই ফোঁটার উপহারও নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে জানালে রাজ্যবাসীর দোরগোড়ায় সরবরাহ করবে CDAC।
কোভিড পরিস্থিতিতে দৈনিক বাজারের ভিড় এড়াতে বার বার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু পালা-পার্বণে ঐতিহ্য মেনে রীতিনীতি পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধির পরোয়া করা সম্ভব হয় না গৃহস্থের। বাজার ঘুরে তাই চোদ্দ রকম শাক জোগাড় করতে গিয়ে বড়সড় ঝুঁকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে CDAC। ফোন কলের মাধ্যমে জানালে মাত্র ৯০ টাকা খরচ করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে শাক-সম্ভার।
দুর্গা পুজোয় মণ্ডপে জনসমাগমের উপরে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল রাজ্য সরকার। কালী পুজোতেও বলবৎ রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সামাজিক দূরতত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শণ করলেও পুজোর ভোগের নাগাল পাওয়া প্রায় অসম্ভব ভক্তজনের সেই মনোবাসনাও পূর্ণ করার বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে CDAC। এবার ফোন করলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে কালী পুজোর প্রসাদ ভোগ। খরচ করতে হবে মাত্র ৩০০ টাকা।
একই ভাবে বাংলার মানুষকে ভাই ফোঁটার উপহার কেনার হাত থেকেও রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা। ফোনেই ফরমায়েশ দেওয়া যাবে ভাই-বোনের জন্য পছন্দসই উপহার।
তবে এই সমস্ত সামগ্রীর জন্য ফোনে অর্ডার নেওয়া হবে আজ, শুক্রবার ১৩ নভেম্বর পর্যন্তই। কালী পুজোর দিন থেকে নতুন অর্ডার নেওয়া হবে না। এই বিষয়ে সবিস্তারে জানা যাবে https://wbcadc.com/ ওয়েবসাইটে।