htভাল কথায় কাজ না হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপের পক্ষে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যে সেকথা জানিয়েও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানানো হয়েছে, লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি না হলে কার্ফু জারির মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিক রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে পথে বেরিয়ে পুলিশের মুখে পড়লে আরও কঠিন আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে আইনভঙ্গকারীকে।
সোমবার বিকেল ৫টা থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বড় শহরে শুরু হয়েছে লকডাউন। তার পরও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বেরোতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও প্রবল হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রবণতা রুখতে রাজ্যকে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়েছে, লকডাউনে কাজ না হলে কার্ফু জারির পথে হাঁটুক রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রের পরামর্শে ইতিমধ্যে কার্ফু জারি করেছে পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পুদুচেরি। কিন্তু দেশের অন্য কোনও রাজ্য এখনো সেপথে হাঁটেনি।
সরকারি কর্তাদের একাংশের মতে, লকডাউনের মতো অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে অনেকেই অযথা আতঙ্কিত হচ্ছেন। যুদ্ধের সময় যেমন খাবারের সঙ্কটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে মানুষ আগেভাগে বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করা শুরু করে এক্ষেত্রেও তেমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। তবুও বাজারে ভিড় ভাট্টা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছেই।