বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BJP: আদি নেতাদের সম্মান দিচ্ছেন না কেন?‌ বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্নে চাপে বঙ্গ–পদ্ম

BJP: আদি নেতাদের সম্মান দিচ্ছেন না কেন?‌ বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্নে চাপে বঙ্গ–পদ্ম

দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল (PTI)

পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিক্ষুব্ধ শিবিরকে কাছে টানার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলাস্তরের বিভিন্ন কমিটিতে খোলনলচে পাল্টে আদি–নব্য সমন্বয় চাইছেন বনশল–পাণ্ডেরা। এই নির্দেশের পরই রাজ্য–জেলা নেতারা দলের পুরনো এবং নিষ্ক্রিয়দের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।

পদ থেকে সম্মান—কোনটিই পাচ্ছেন না আদি বিজেপি নেতারা। তাই কাজ করাও বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগ তাঁরা পৌঁছে দিয়েছেন নয়াদিল্লিতেও। আর তাতেই এবার চাপে পড়ে গেল বঙ্গ পদ্মের নেতারা। এবার সরাসরি রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন করা হয়েছে, পুরনোদের যোগ্য সম্মান ও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি? পুরনো নেতা–কর্মীরা কি মাঠে নামছে?‌ এই প্রশ্নবাণই এবার রাজ্যে বিজেপির নেতাদের কানে তুললেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। আর তাতেই চাপ বাড়ল।

কেন এমন প্রশ্ন উঠল?‌ সূত্রের খবর, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে যদি অন্যান্য ভোটের মতো গোহারা হতে হয় বিজেপিকে তাহলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি কেউ আটকাতে পারবে না। এই কথা বুঝতে পেরেই দলের আদি শিবিরকে মাঠে নামাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা সভাপতিদের বলা হয়েছে। এমনকী তাঁদের বৈঠকে ডেকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন সুনীল বনশল থেকে মঙ্গল পাণ্ডেরা।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ আদি বিজেপি নেতাদের সম্মান না দেওয়ায় সংগঠন দুর্বল হয়েছে। একাধিক উপনির্বাচন এবং পুরসভা ভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। ভোটের গ্রাফও নেমেছে। রাজ‌্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা–সহ অনেকে। দল পরিচালনার বিষয়ে দলীয় বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার এবং অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল আরেক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‌্যায়কে। এমনকী সুকান্ত–দিলীপ–শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে দূরত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এসব নয়াদিল্লির নজরে আসতেই জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে। সেখানেই এমন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিক্ষুব্ধ শিবিরকে কাছে টানার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলাস্তরের বিভিন্ন কমিটিতে খোলনলচে পাল্টে আদি–নব্য সমন্বয় চাইছেন বনশল–পাণ্ডেরা। তাই পুরনোদের গুরুত্ব দিয়ে কেন ডাকা হচ্ছে না?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই নির্দেশের পরই রাজ্য–জেলা নেতারা দলের পুরনো এবং নিষ্ক্রিয়দের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন