গতকালের পরিদর্শনের পর রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও বাঙুর হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। চিঠিতে ওই দুই জায়গার পরিকাঠামো ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে করোনা পরীক্ষার ফল আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন তা নিয়েও?
চিঠিতে কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব কুমারকে লিখেছেন, বাঙুর হাসপাতালে অব্যবস্থার ছবি দেখেছেন তাঁরা। সেখানে বেশ কিছু রোগী বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাদের টেস্ট রিপোর্ট এখনো মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ৫ দিনেও রোগীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আবার কিছু রোগীর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়নি। এমনকী হাসপাতালে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
সঙ্গে লিখেছেন, অন্যান্য হাসপাতাল থেকে যে সব রোগীদের করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে থাকছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফলে রোগীরা বাঙুর হাসপাতালে আসতে দেরি করলে সরকারের কিছু করার থাকবে না। সঙ্গে বাঙুর হাসপালে ভেন্টিলেরট অপ্রতুল বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। সেখানে ৩৫৪ জন রোগীর জন্য ১২টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কখনো কোনও রোগীর ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হলে তাকে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিউ টাউনের কোয়ারেন্টাই সেন্টারের ৪ ব্যক্তির ১৬ এপ্রিে, ২ জনের ১৭ এপ্রিল ও ৩ জনের ১৮ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ হলেও এখনো রিপোর্ট মেলেনি বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও রাজ্য সরকারকে আরেকটি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান। তাতে তিনি COVID 19 ডেথ অডিট কমিটির বৈধতা ও তার করোনায় মৃত ঘোষণার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সঙ্গে ওই কমিটির কাছে জমা পড়া যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
বলে রাখি, চলতি সপ্তাহেই বাঙুর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ভিতরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, রোগীদের পাশেই পড়ে রয়েছে মৃতদের। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই নেই। ওয়ার্ডে রোগীর মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকছে বলে অভিযোগ করা হয় ভিডিয়োয়।