ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। সাত সদস্যের এই দল ২ দিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেখবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁর। তার ভিত্তিতে আরও ক্ষতিপূরণ পেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
গত ২০ মে রাতে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে যায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। তার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয় দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলার। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সুন্দরবন ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো ফেরেনি বিদ্যুৎ। বহু জায়গায় নেই পানীয় জল। করোনার মধ্যে এই দুর্যোগে ত্রাণও অপ্রতুল।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবের পর গত ২২ মে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন তিনি। এর পর বসিরহাট কলেজে এক বৈঠকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রাথমিক ভাবে ১,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে দরকারে আরও সাহায্যের আশ্বাস দেন।
আমফানের ক্ষত পূরণে পশ্চিমবঙ্গের আরও অনুদান প্রয়োজন রয়েছে কি না তা জানতে বৃহস্পতিবারই দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে আসছে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল। যার মধ্যে থাকবেন বিদ্যুৎ, সড়কের মতো মন্ত্রকের পদস্থ আমলারা।
জানা গিয়েছে, ২ দিনের সফরে দুই ২৪ পরগনা ঘুরে দেখবেন তাঁরা। ২টি দলে ভাগ হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করবেন তাঁরা। এর পর দিল্লি ফিরে গিয়ে রিপোর্ট দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। তার পর পশ্চিমবঙ্গের আরও ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন কি না তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমফান মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের সুশাসক হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের বাঙালির শুভাকাঙ্খী প্রমাণের কোনও সুযোগ ছাড়তে চায় না মোদী সরকার। তাই রাজ্যের প্রাপ্য টাকাও রীতিমতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে দিচ্ছে তারা।