বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এই উপনির্বাচন এবং বকেয়া নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। সে কথা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এবার জানা গেল, রাজ্যে আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং দুই বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর। আর তাতেই এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য।
এই ১৫ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে কারা কতজন করে থাকবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৫ কোম্পানির মধ্যে সিআরপিএফের ৭ কোম্পানি, বিএসএফের ৪ কোম্পানি, এসএসবি’র ২ কোম্পানি, সিআইএসএফ এবং আইটিবিপি’র ১ কোম্পানি থাকছে। তাঁরাই এই তিন কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন করতে সাহায্য করবেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, ১৫ কোম্পানি কোন হিসাবে থাকবে? প্রতি কেন্দ্রে পাঁচ কোম্পানি করে? নাকি ভবানীপুরে বেশি বাকি দুটি কেন্দ্রে কম? যদিও উত্তর মেলেনি।
এদিকে ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর—তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সিপিআইএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতেই ঘটেছিল শীতলকুচির মতো ঘটনা। তাছাড়া তৃমমূল কংগ্রেস বারবার অভিযোগ তুলেছিল ভোটার প্রভাবিত করছে এই বাহিনী। তাই ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ঘটনায় সরগরম উপনির্বাচন।
অন্যদিকে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই জোরদার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যানার–ফেস্টুনে সরগরম হয়ে উঠেছে ভবানীপুর। তবে বাকি দুটি কেন্দ্রেও দেওয়াল লিখন হয়েছে। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পরস্পরকে রাজনৈতিক আক্রমণ। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে ভবানীপুরের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। এখন দেখার সেখানে কে জয়ের হাসি হাসে।