সিবিআই তদন্ত গতি পাচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনার শিকার হয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবী থেকে তদন্তকারী অফিসার। কিন্তু প্রতিনিয়ত সিবিআইয়ের উপর মামলার চাপ বাড়ছে। কলকাতা হাইকোর্টও বলছে, আপনাদের অফিসার না থাকলে নয়াদিল্লি থেকে পাঠাতে বলুন। এই প্রেক্ষিতে আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, আরও পাঁচজন দক্ষ সিবিআই অফিসার কলকাতায় আসছেন। এই তথ্য আদালতকে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানি চলছিল। তখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, ‘সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। সবাই মামলা করে সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। আর রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথায় নেই। তারা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিন্তু এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত উদ্বিগ্ন।’ যেহেতু অফিসার নেই, তাই তদন্ত প্রক্রিয়াও মন্থর গতিতে চলবে। আর তদন্তে গতি না পেলে সে মামলা কিছুদিন পর প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। তাই এই মন্তব্য বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
তারপর ঠিক কী হল? বিচারপতির মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, এই বিষয়টি তাদের নজরে আছে। সিবিআই দফতরে যে কর্মীর অভাব রয়েছে সেটা স্বীকার করেন তিনি। তখনই তিনি আদালতকে জানান, বিপুল সংখ্যক মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও পাঁচজন দুঁদে অফিসার কলকাতায় আসছে তদন্তের কাজে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই সূত্রে খবর, বাংলায় আরও অফিসার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে উদ্ভূত সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তখন সিবিআইয়ের নয়াদিল্লির ইউনিট সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতায় কয়েরজন অফিসার পাঠানো হবে। তার মধ্যেই পাঁচজন চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় আসছেন। তাঁরা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে শুরু করে গরু, কয়লা পাচার মামলারও তদন্তকে গতি দেবেন। তবে এদিন এক মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তের দাবি করেন মামলকারীরা। তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘এখনই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে না। পরে আদালত বিবেচনা করবে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup