আবার নয়াদিল্লি থেকে এল টাকা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। সুতরাং পরিসংখ্যান বলছে, ৮ মাস বন্ধ থাকার পর কেন্দ্র এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করা নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম থেকে এই প্রকল্পে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে টাকা না পাওয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই জট কাটাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগেই গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশের পর রাজ্য স্তরে কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নয়াদিল্লির সরকারের বরাদ্দ করার কথা ছিল। সেটাই গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এখন মোট ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য এই টাকা গরিবদের বরাদ্দ করা হবে। ৮২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি টাকা দেবে রাজ্য।।’ উল্লেখ্য, গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। আর বাকি ৪০ শতাংশ খরচ রাজ্যের।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিকবার চিঠি লিখে টাকা না দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বারবার টাকা দিল রাজ্য সরকারকে। আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা দেওয়া হয়েছে। এবার আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হল। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘কেউ কেউ আছে যে বাংলার খেয়ে বাংলার পরে বাংলারই সমালোচনা করে। খালি দিল্লিকে বলে যে টাকা দেবেন না। শুধু কূটকচালি করে।’