বাংলা যে কাজ করছে ফের তার প্রমাণ মিলল। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার প্রশংসা করে অর্থ বরাদ্দ করল। জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সুতরাং বঙ্গ–বিজেপি যখন এই সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতে চেপে ধরতে চাইছে তখন এই প্রশংসা এবং অর্থ বরাদ্দ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের কাজকে প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিক। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই এক হাজার কোটি টাকা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। জল জীবন মিশন প্রকল্পে মূলত রাজ্য দেয় ৫০ শতাংশ টাকা। আর কেন্দ্র দেয় একই পরিমাণ টাকা। জল জীবন মিশনের অধীনে রাজ্য ভালই কাজ করছে বলে প্রশংসা করা হয়। আজ, মঙ্গলবার জল জীবন মিশন নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানেই উঠে আসে এই তথ্য।
কী হবে এই টাকা দিয়ে? নবান্নের এক আধিকারিক জানান, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থেকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রতিটি স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই টাকা কাজে লাগিয়ে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। এখনও পর্যন্ত ৪৬ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দিতে রাজ্যকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিড–১৯ আবহে লকডাউনের পরও জল জীবন মিশনের গতি থমকে যায়নি বলেই দাবি কেন্দ্রের। ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্যকে বলে অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এবার মিলল ১০০০ কোটি টাকা।