মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব তখনই উলটো সুর শোনা গেল তাঁরই মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সদস্যের কণ্ঠে। ১০০ দিনের কাছে কেন্দ্রের প্রথম পুরস্কার পেয়ে তিনি বললেন, ‘সব সময় কেন্দ্র অসহযোগিতা করে একথা বলি না।’ সঙ্গে পুরস্কার দেখতে বিরোধীদের তাঁর দফতরে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মন্ত্রীমশাই।
শুক্রবার সুব্রতবাবু দাবি করেন, ‘আমাদের রাজ্যে এক জনও পরিযায়ী শ্রমিক না খেতে পেয়ে মারা যায়নি। এবারও ১০০ দিনের কাছে প্রথম হয়েছি আমরা। বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানালাম আমার অফিসে এসে পুরস্কার দেখে যাবেন।’
এর পরই কেন্দ্রের প্রশংসা শোনা যায় মন্ত্রীমশাইয়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে কেন্দ্র অনেক সময় সহযোগিতা করে না ঠিকই। আবার অনেক সময় পাশেও দাঁড়ায়। সব সময় কেন্দ্র অসহযোগিতা করে একথা আমি বলি না। তবে কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছ থেকে তেমন সাহায্য পাইনি। যেমন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্র তেমন ভাবে হাত বাড়িয়ে দেয়নি।’
সুব্রতবাবু দাবি করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে পাকা বাঁধ নির্মাণে কাজে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁদের কর্মসংস্থান হয়েছে তেমনই বন্যা প্রতিরোধে সাফল্য মিলেছে।
যদিও বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যে শিল্প ও কর্মসংস্থান নেই বলেই মানুষ ১০০ দিনের কাজ করতে বাধ্য হয়। এই সাফল্য গর্বের নয়, লজ্জার।