এখনও একশো দিনের কাজের টাকা পায়নি বাংলা। তার জন্য বহুবার দরবার করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে প্রাপ্য আদায় নিয়ে কথা বলেছিলেন। তারপরও মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ডে’র পর এবার ‘ওয়ান নেশন ওয়ান জব কার্ড’ আনার নয়া পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে খবর। একশো দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ইস্যু করা হয় জব কার্ড। এবার সেই কার্ডের বৈধতা দেশজুড়ে প্রযোজ্য করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের পরিকল্পনা ঠিক কী? এখন থেকে শুরু হয়েছে ১০০ দিনের কাজের সময়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা। এই কাজে এবার ২০০ দিন চালাতে আগ্রহী সরকার। আর্থিক মন্দার মধ্যে একমাত্র এই প্রকল্পটিই সফলভাবে গ্রামীণ কর্মসংস্থানকে সক্রিয় রেখেছে। তাই বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ১০০ দিনের কাজকে। সেখানে এমন নতুন পরিকল্পনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামীণ মানুষজন।
কেন এমন পরিকল্পনা করা হচ্ছে? সূত্রের খবর, বহু রাজ্যে নিজের এলাকায় সর্বদা কাজ পাচ্ছেন না জব কার্ডধারীরা। আবার আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজের পরিমাণ বা প্রয়োজনের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বহুগুণ বেশি। তাই সমস্যা সমাধানেই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান জব কার্ড’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে স্বজনপোষণ রোখা যায়। এখন অন্য জেলা বা ভিন রাজ্যে গিয়েও সরকারিভাবে পাওয়া জব কার্ড দেখিয়ে কাজ পাওয়া যায়। তাতে সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ভিন রাজ্যে ওই শ্রমিকদের অন্য কাজের হদিশ দিতেই এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবার ১০০ দিনের জব কার্ডকে শ্রমমন্ত্রকের ই–শ্রম পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব কি না সেটা নিয়ে আলোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আর কী জানা যাচ্ছে? ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পকে ২০০ দিনের করার দাবি অনেক দিনের। ২০২০ সালের পর থেকেই বেকারত্বের সঙ্গে লড়াই করতে কেন্দ্রের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে কর্ণাটক, ওড়িশা, রাজস্থানের মতো কিছু রাজ্য। গত বাজেটে ৭২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এই প্রকল্পে। পরে আরও ২৫ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হয়েছে।