প্রতি বছর বর্ষা এলেই রাজ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ে। এই অবস্থায় সাপে কাটা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ২০১৮ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গড়ে উঠেছিল ‘পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার।’ দেশের সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে এটিই ছিল প্রথম সেন্টার। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে দেশের সেরা পয়জন ইনফর্মেশন সেন্টারের সন্মান পেয়েছিল কেন্দ্রটি। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দেওয়ায় ২০২৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেই কেন্দ্রটি। এবার কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের একটি করে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: ৭ বার সাপের কামড় খেয়ে বেঁচেছেন, অষ্টম বারে মৃত্যু সর্পপ্রেমীর
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ডা. অতুল গোয়েল চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যকে একটি করে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলায় যেকোনও দুটি সরকারি হাসপাতাল অথবা দুটি মেডিক্যাল কলেজে এই ইনফরমেশন সেন্টার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারফলে আরজি করে নতুন করে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে বলা হয়েছে, যে প্রত্যেক রাজ্যের অ্যান্টি ভেনমের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু মৌলিক চরিত্র রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও রাজ্যে অ্যান্টি ভেনম সেই রাজ্যের মানুষের ক্ষেত্রে যতটা কার্যকরী অন্য রাজ্যের মানুষের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরী নাও হতে পারে। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর আরজি করের কেন্দ্রটিতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে সাপের কামড়-সহ নানা ধরনের বিষের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন।
তবে শুধু সাপের বিষই নয়, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চটজলদি চিকিৎসা, বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত, বোলতা, মৌমাছি-সহ বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গের কামড়ে কী করণীয়, বিষাক্ত মাকড়শা ও অন্যান্য কীটের কামড়ে কী করণীয় ? সেই সব তথ্য এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে মানুষ জানতে পারতেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এভিএস তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছে। জানা গিয়েছে, এক সময় এই বাঙালি ওষুধ উৎপাদক সংস্থা এভিএস তৈরি করত। কিন্তু, পরিচালনা, পরিকাঠামোর অভাবে সেগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আবার পরিকাঠামো তৈরি হওয়ায় এভিএস উৎপাদন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এই ওষুধ সংস্থা।