কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে বরাবরই অ্যালার্জি তাঁর। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সেই উপসর্গ কাটিয়ে উঠতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা ত্রাণে টাকা বণ্টনের সিদ্ধান্তকে। মমতার অভিযোগ, জন-ধন অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে নিজের জারি করা লকডাউন নিজেই ভাঙতে বাধ্য করছে কেন্দ্র। টাকা তুলতে মানুষ ভিড় করছে ব্যাঙ্কের সামনে।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘ব্যাঙ্ক আর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট করবে বলে আর গ্যাস দেবে বলে গ্রামে গঞ্জে হাজার হাজার মানুষকে লাইন করে দাঁড় করিয়েছে। কেন্দ্রের ঘোষণা করা লকডাউন কেন্দ্র নিজেই ভাঙাচ্ছে। এটা আমরা ভালভাবে নিচ্ছি না। আমি মুখ্যসচিবকে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’ সঙ্গে মমতার প্রস্তাব, আমাদের সঙ্গে কথা বললে আমারা ছোট ছোট গ্রুপ করে এগুলো করে দিতাম।
সঙ্গে রেশন বণ্টনের সময় বিশৃঙ্খলা নিয়েও সাফাই দেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় রেশনে করোনা-ত্রাণে বিনামূল্যে চাল বিতরণ। আর প্রথম দিন থেকেই রেশন দোকাগুলিতে বিনামূল্যে চাল নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ। যার জেরে জেলায় জেলায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। কোথাও কোথাও জনতা হঠাতে লাঠিও চালাতে হয় পুলিশকে। এদিন মমতা বলেন, 'রেশন নিয়েও হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছিল। কিন্তু আমরা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।'
তুলনায় ভিড় এড়াতে প্রথম থেকেই পরিকল্পনা করে এগিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। মহিলা জন-ধন অ্যাকাউন্টধারীদের অ্যাকাউন্ট নম্বরের শেষ সংখ্যা ধরে ৫০০ টাকা করে জমা দিচ্ছে তারা। প্রতিদিন ২টি করে সংখ্যার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার ৫ ও ৬ দিয়ে যাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর শেষ হয়েছে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।
কিন্তু এসব না বুঝেই টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে ভিড় করছেন বহু মানুষ। জন-ধন অ্যাকাউন্টধারীদের অনেকেই জীবনে প্রথম ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় এসেছেন। ফলে তাঁদের বোঝাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে আধিকারিকদের।