নির্বাচনের আগে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।এমনকী তৃণমূল থেকে আসার পরে টিকিটও পেয়ে যান অনেকেই। এদিকে কার্যত সেই নব্য বিজেপির দাপটে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন আদি বিজেপির নেতা কর্মীরা। এদিকে ভোটে হারতেই তাঁদের অনেকেই এখন বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। কার্যত তাঁরাই এখন বিজেপির অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন। তবে দেরিতে হলেও গোটা বিষয়টি এতদিনে বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার হেস্টিংসে বিজেপির সদর দফতরে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সেই বৈঠকে শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ হাজির ছিলেন।
সূত্রের খবর, সেখানেই তৃণমূল থেকে আসা নব্য বিজেপির প্রসঙ্গ সামনে আসে। পাশাপাশি আদি বিজেপির নেতা কর্মীদের আরও গুরুত্ব দেওয়ার ব্য়াপারেও আলোচনা হয়। মূলত আদি - নব্য় সংঘাতকে দূরে রেখে অভিমান করে দূরে চলে যাওয়া বিজেপির পুরানো নেতা কর্মীদের আরও কাছে টানার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মান ভাঙাতে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল থেকে আসার পরেই সেই নব্যদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি যে দলের অনেকে মানতে পারেননি সেকথাও এতদিনে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে কোনও গুরুত্ব না পেয়েও দলের পুরানো নেতা কর্মীরাই যে বাস্তবে চোখের মণির মতো দলকে রক্ষা করেছেন সেকথাও এতদিনে অনুভব করতে পারছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এককথায় বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। এমনটাই মনে করছেন দলের নীচুতলার কর্মীরা।