কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎ বিলের সংশোধনীর বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই সংশোধনী কার্যকর হলে গরিব মানুষ বিপদে পড়বেন। এমনকী পৃথক নিয়ন্ত্রণ কমিশন তৈরি হলে রাজ্যের কমিশন এবং বণ্টন সংস্থাগুলি গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, প্রাইভেট পার্টিকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই এই বিরোধিতা।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং। তিনি বলেন, ‘কেন মমতা বিদ্যুৎ বণ্টনের একচেটিয়া কারবার রক্ষা করতে চাইছেন?’ যদিও এই সংশোধনী এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পায়নি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের বিদ্যুৎ ধর্মঘট স্থগিত রাখছে বিদ্যুৎ কর্মী–অফিসারদের যৌথ মঞ্চ এনসিসিওইই। দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকার কথা ছিল তাঁদের।
বিদ্যুতে সংশোধনী নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলেরও দাবি, শহরে মুনাফার জন্য বেসরকারি সংস্থা এলেও গ্রামে তারা পা রাখবে না। তখন সেখানে বিদ্যুৎ জোগাতে গিয়ে অলাভজনক হয়ে পড়বে সরকারি বণ্টন সংস্থা। গ্রাহকের মাসুল ও দুর্ভোগ দুই–ই বাড়বে। কিন্তু এইসব কথা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিষয়ে গ্রাহকের স্বার্থরক্ষা হবে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রীর পাল্টা যুক্তি, ‘তিনি (মমতা) কেন বিদ্যুৎ বণ্টনের একচেটিয়া কারবার রক্ষা করতে চাইছেন? যখন সর্বোচ্চ মাসুলের ক্ষেত্রে কলকাতা অন্যতম?’ তাঁর আরও দাবি, বণ্টন ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্যের অবসানই বিলের লক্ষ্য। বিল কার্যকর হলে টেলিকমের মতো বিদ্যুতেও বণ্টন সংস্থা বদলানোর সুযোগ পাবেন গ্রাহক।