রাজ্যে আবাস যোজনা, মিড–ডে মিল–সহ নানা প্রকল্প সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এমনকী এখান থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক চিঠি দিচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তার জেরে আটকে যাচ্ছে প্রকল্পের টাকা। এতদিন এই অভিযোগ তুলতেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এবার শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যে দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আর তাতেই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
বাংলার সরকারি স্কুলগুলিতে মিড–ডে মিল কেমন চলছে তা দেখতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর ১০টি জেলায় আবাস যোজনার কাজ দেখতে এসে গিয়েছে পাঁচটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। আর আজ। শনিবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কেন নয়াদিল্লি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে? সম্প্রতি মিড–ডে মিলে পড়ুয়াদের মুরগির মাংস খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপর সেটাকে আটকাতেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মিড–ডে মিল থেকে মুরগির মাংস পড়ুয়াদের পাতে পড়লে তাঁদের অভিভাবকদের ভোট পড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের বাক্সে বলে মনে করছেন বহু বিজেপি নেতা। তাই এভাবে আটকানোর কৌশল।
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী? বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি রাজ্য দফতরে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড–ডে মিল প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। তাছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর মিড–ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ঠিক কী বলছেন কলকাতার মেয়র? এই কেন্দ্রীয় দলকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছেন। সেটাকে কী বলবেন? উত্তরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এগুলিতে কোন কিছু যায় আসে না। নতুন পার্টিতে নিজের দাম বাড়াতে এসব করে। যে কেউ আসতে পারে। যে কেউ এসে দেখতে পারে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত কিছু করা রয়েছে। কোন অসুবিধা নেই এখানে কোথাও দুর্নীতি কিছু হয়নি। টাকা দেবার মুরোদ নেই বলে এসব বাহানা করছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup